দেওয়ানগঞ্জে যমুনার ভাঙনে ভোরের আলো ফোটার আগেই কয়েকটি পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে নদীতে। নদীপাড়ের নিঃস্ব মানুষের আহাজারী আর কান্নায় বিষন্ন হয়ে উঠেছে পরিবেশ।
যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদীতে স্রোত বেড়েছে। এই তীব্র স্রোতে দেওয়ানগঞ্জ কয়েকটি গ্রামে আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে নদী পারের মানুষগুলো। দেওয়ানগঞ্জ নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল চিকাজানী ইউনিয়ন সরেজমিন ঘুরে বৃহস্পতিবার বড়খাল ও চুকাইবাড়ীর দুর্গম এলাকা যমুনা তীরবর্তী ঘরবাড়ি নদীতে ভাঙতে দেখা গেছে। বড়খাল গ্রামে বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার আগের তিনটি পরিবারের তিন ভাইয়ের বাড়িঘর স্রোতে ভেসে তলিয়ে গেছে। তোতা, রাজ্জাক, এরশাদ এই তিন ভাইয়ের পরিবারের লোকজন জানান, কোনোরকমে জানটা নিয়ে সাঁতরাইয়া পাড়ে উঠছি। কিছুই নিতে পারি নাই। অসুস্থ বৃদ্ধ মাকে হাপটাইয়া ধইরা বাঁচাইছি। মুরগি, ধান, চাল, আসবাবপত্র তলাইয়া গেছে। তোতা মিয়ার স্ত্রী হাসনা বেগমকে নদীর তীরে ভিজা কাপড়ে আহাজারী করে বলতে দেখা যায়, নদীতে আমার সব তলাইয়া গেছে পরনে একটাই কাপড়। ঘরে পিঁয়াজ, ধানচাল সবই তলাইয়া গেল।
ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে ঐতিহ্যবাহি দেলোয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়, হলকারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভেলামারী বাজার, বড়খাল, মাঝিপাড়া। বিদ্যালয় ২টি নদী ভাঙন এলাকা থেকে ১০০ মিটার দূরত্বে রয়েছে।
স্থানীয় সমাজসেবক হাবিবুর রহমান ও আলী হায়দার বাবুল যুগান্তরকে বলেন, এখানে আরও বেশি জিও ব্যাগ ফেলা হলে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান সোলাইমান হোসেন জানান, নদী ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। আরও জিও ব্যাগ ফেলা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার শেফা জানান, এলাকাটি রক্ষার জন্য জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে।
0 Comments